ভেঞ্চুরি এয়ারেটর ব্যবহারে মাছ চাষে সফলতা
১. কম
যায়গায়
বেশী
মাছ
চাষ
একটি
অভিনব
পদ্ধতি।
২. এয়ারেটর
হলো
অক্সিজেন
উৎপাদন
করা
মেশিন।
অল্প
সময়ে
মাছ
দ্রুত
বৃদ্ধি
পায়।
৩. পুকুরে
তলায়
পর্যাপ্ত
অক্সিজেন
সরবরাহ
করে
যায়
ফলে
অ্যামোনিয়
গ্যাস
দূর
করে।
৪. ক্ষতিকর
ব্যাকটেরিয়া
থেকে
পানিকে
রক্ষ
করে
পানিতে
নতুন
শেওলা
জন্মতে
দেয়
না।
৫. পুকুরে
মশার
উপদ্রব
পুরোপুরি
বন্ধ
করে
এবং
পুকুরে
থেকে
নোংরা
আবর্জনা
অপসারনে
সহায়তা
করে।
৬. এয়ারেটর
এর
অধিক
ঢেউয়ের
ফলে
মাছের
ছুটাছুটি
বৃদ্ধি
পায়,
মাছ সঠিক
পরিমান
খাবার
খায়
ফলে
খাবারে
অপচয়
রোধ
হয়
এবং
মাছের
দ্রত
বৃদ্ধি
ঘটায়
।
৭. এয়ারেটর
পানির নিচে
স্তরের
পানিতে
অক্সিজেন
সরবরাহ
করে
প্রায়
১০
ফিট
পর্যন্ত
।
এছাড়া
অ্যামোনিয়
মাছের
বর্জ্য
উপরে
নিয়ে
আসে
ফলে
পানিতে
অটো
প্লাংটন
তৈরী
করে।
সাধারণত প্রতি ১ একরের জন্য স্বাভাবিক অবস্থায়
১ থেক ১.৫ HP এর মেশিন ব্যবহার করা উচিত।
তবে চরম পর্যায়ে ২ HP পর্যন্ত করা ভাল।
১ থেক ১.৫ HP এর মেশিন ব্যবহার করা উচিত।
তবে চরম পর্যায়ে ২ HP পর্যন্ত করা ভাল।
এয়ারেটরের ক্ষমতা নির্ণয় : পুকুরের দৈর্ঘ্য×প্রস্থকে ৪৩৫৬০ দিয়ে ভাগ করে যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে ১.৫ দিয়ে গুণ করলে আপনার কাঙ্খিত এয়ারেটর এর শক্তি আপনি পেতে পারেন। যেমন আপনার পুকুরের দৈর্ঘ্য ২০০ ফুট এবং প্রস্থ ১৫০ ফুট। তার মানে দাঁড়াচ্ছে ২০০×১৫০=৩০,০০০। এ সংখ্যাকে ৪৩৫৬০ দিয়ে ভাগ করলে হবে ৩০০০০/৪৩৫৬০= ০.৬৮ । একে ১.৫ দিয়ে গুণ করলে হবে ০.৬৮ × ১.৫ = ১.০২ । মানে ১ হর্স পাওয়ারের মেশিন এই পুকুরের জন্য যথেষ্ট।
চৌবাচ্চায় মাছ চাষ
পুকুরে যেখানে প্রতি ঘনমিটার পানিতে মাছের উৎপাদন মাত্র
এক থেকে দুই কেজি, সেখানে ঘরের মধ্যে চাষে উৎপাদন ষাট
কেজি পর্যন্ত! শুনে হয়তো খটকা লাগতে পারে। কিন্তু আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে
চাষাবাদে এসেছে এই সফলতা। স্বল্প জমি, অল্প পানিতে মাছের
উৎপাদন হচ্ছে অন্তত ২৫ গুণ। বছরে ১০ টন শিং-মাগুর মাছ উৎপাদনের জন্য অন্তত ১০ বিঘা
পুকুর প্রয়োজন। এ প্রযুক্তিতে মাত্র ৬-৭ কাঠা জমিতে সে পরিমাণ মাছ উৎপাদন সম্ভব।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রি-সার্কুলেশন
একুয়াকালচার সিস্টেমের আরএএস ক্ষুদ্র ভার্সন মিনি আরএএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ
চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ট্যাঙ্ক পাইপ দিয়ে মেকানিক্যাল ফিল্টার যুক্ত।
এ ফিল্টার প্রতিটি ট্যাঙ্কের মাছ ও মত্স্য খাদ্যের বর্জ্য পরিষ্কার করে। পরে এ পরিষ্কার
পানি পাম্প দিয়ে বায়োফিল্টারে তোলা হয়। মাছের বৃদ্ধি যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য পানি পরিশোধন করা হয়। সার্বক্ষণিক ফিল্টারিংয়ের ফলে পানি
পরিশোধন হয় আর পরিশোধিত পানির ১০ শতাংশ বর্জ্য হিসেবে বের হয়ে যায়। এটি আবার জৈব
সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। মাছের খাবার নষ্ট হয় না। সাধারণত পুকুরে অক্সিজেনের
স্বল্পতা থাকে, এখানে সে অসুবিধা নেই। ’ ৮০ শতাংশ পানি সম্পূর্ণ শোধন করে পুনর্ব্যবহার করা যায়। মেকানিক্যাল ও
বায়োপরিশোধন প্রক্রিয়ায় মাছের বর্জ্য, খাদ্যাবশেষ,
দ্রবীভূত এমোনিয়া, কার্বন ডাই-অক্সাইড
এসব ক্ষতিকারক গ্যাস ৯০ শতাংশ পর্যন্ত অপসারণ সম্ভব। এসব উপাদান মাছের বৃদ্ধিতে
ক্ষতিকারক।
এ পদ্ধতিতে পুকুর থেকে ৩০ গুণ বেশি মাছ উৎপাদন করা
সম্ভব।
পুকুরে যেখানে প্রতি শতাংশে ৪০০ থেকে ৫০০ মাছ চাষ করা
যায়,
সেখানে এ পদ্ধতিতে প্রতি কিউবিক মিটারে ১ হাজার ২০০ মাছ চাষ করা
যায়।
No comments:
Post a Comment